বাংলা নববর্ষ, পান্তা ইলিশ আর আমাদের ভন্ডামো
বাংলা
নববর্ষ এলেই চারিদিকে একটা উৎসবের আমেজ শুরু
হয়ে যায়। বাংলাদেশের সকলেই প্রস্তুতি নিতে শুরু করেন কিভাবে দিনটি পালন করবেন, কি করবেন
, কি খাবেন, এই সব নিয়ে চিন্তার অন্ত থাকে না । বিশেষত সকলেই ভাবতে থাকেন কোথায় পান্তা আর ইলিশ খাবেন। আর এই সুযোগে এক শ্রেণির অসাধু মাছ ব্যবশায়ি ইলিশের দাম
১০/২০ গুন চরাদামে বিক্রি করছে ,আর আমরা সেটা কিনেও নিচ্ছি শুধু একদিনের জন্য বাংলার কৃষ্টি কালচার কে রক্ষা বা
পালন যাই বলেন না কেন তার ধোয়া তুলে। আমি কখনই নববর্ষ পালনের বিরোধী নই, কিন্তু আমার
একটা প্রশ্ন মনে আসে কৃষ্টি কালচার কি শুধু
এক দিনের জন্য পালন করলেই চলে, বিশেষত যে পান্তা
ইলিশ খাওয়ার জন্য ইমরা পাল্লা দিয়ে প্রতিযোগিতা
করি তা কি সত্যই আমাদের ঐতিহ্যের অংশ। পান্তা
একসময় গ্রামের খেটে খাওয়া মানুষের খাবারের মেনুতে থাকত, কিন্তু তা প্রিয় ছিল কিনা জানিনা
, গরীব মানুষগুলো ভাল তরকারির অভাবে শুধু মাত্র পেয়াজ আর কাচা মরিচ নয়ত শুধু লবন দিয়ে
পান্তা খেয়েছে, সখে খায় নাই । আজ আর তেমন দেখা যায় না । দিন বদলেছে। মানুষের আয় বেরেছে,
রচিরও পরিবর্তন হয়েছে। আর আমরা কিছু মানুষ পুরানো দিনের মানুষগুলোর সেই অভাবকেই ঐতিহ্যের নামে উপহাস করছি।
যদি ধরেও নেই তারা খুব সখ করে অত্যন্ত তৃপ্তিসহকারে পান্তা খেত ( ইলিশের গন্ধও তারা পেত কিনা জানিনা) তবে আপনি শুধু নববর্ষে পান্তা আর ইলিশ খাবেন।সারা বছরই আপনার খাবার মেনুতে পান্তা রাখুন না। আর পান্তা খাবার জন্য আপনাকে ফাইভস্টার হোটেল আর এসি রুম লাগবে কেন ? লোকজনকে দেখিয়ে দেখিয়ে খেতে হবে কেন। এটা কি মন থেকে একাকি করা যায় না , ঐতিহ্য কি হৃদয়ে ধারন করা যায় না সারা জীবনের জন্য যতদিন আপনি বেচে থাকবেন। এতই যখন সখ তখন যান এই দিনটিতে আপনি আপনার শিকরে ফিরে যান, নিজ গ্রামে যেয়ে একদিন ক্ষেতে কাজ করেন আর আপানার বৌ বা সন্তান কে বলেন আপনার জন্য পায়ে হেটে আপনার জন্য পেয়াজ মরিচ আর পান্তা থালায় বেধে আনতে। আসল ঐতিহ্য তো ওটাই ছিল তাই না। বাংলার গান, বাংলার নাচ , বাংলার মেলা এসব নিয়ে আনন্দ উৎসব তো আমরা করতেই পারি, সেটা তো আমাদের সংস্কৃতির অংস কিন্তু কার গিরীবিপনাতে একদিনের জন্য সংহতি প্রকাশ করা আর উপহাস করার মধ্যে আমি অন্তত কোন পার্থক্য খুজে পাই না। বরং এই দিনটিতে পান্তা ইলিশের নামে হাজার হাজার টাকা খরচ না করে যারা একবেলা আধবেলা খেয়ে না খেয়ে বেচে আছে তাদের জন্য ব্যায় করলে তারা অন্তত একদিন ভাল খেতে পারবে।
যদি ধরেও নেই তারা খুব সখ করে অত্যন্ত তৃপ্তিসহকারে পান্তা খেত ( ইলিশের গন্ধও তারা পেত কিনা জানিনা) তবে আপনি শুধু নববর্ষে পান্তা আর ইলিশ খাবেন।সারা বছরই আপনার খাবার মেনুতে পান্তা রাখুন না। আর পান্তা খাবার জন্য আপনাকে ফাইভস্টার হোটেল আর এসি রুম লাগবে কেন ? লোকজনকে দেখিয়ে দেখিয়ে খেতে হবে কেন। এটা কি মন থেকে একাকি করা যায় না , ঐতিহ্য কি হৃদয়ে ধারন করা যায় না সারা জীবনের জন্য যতদিন আপনি বেচে থাকবেন। এতই যখন সখ তখন যান এই দিনটিতে আপনি আপনার শিকরে ফিরে যান, নিজ গ্রামে যেয়ে একদিন ক্ষেতে কাজ করেন আর আপানার বৌ বা সন্তান কে বলেন আপনার জন্য পায়ে হেটে আপনার জন্য পেয়াজ মরিচ আর পান্তা থালায় বেধে আনতে। আসল ঐতিহ্য তো ওটাই ছিল তাই না। বাংলার গান, বাংলার নাচ , বাংলার মেলা এসব নিয়ে আনন্দ উৎসব তো আমরা করতেই পারি, সেটা তো আমাদের সংস্কৃতির অংস কিন্তু কার গিরীবিপনাতে একদিনের জন্য সংহতি প্রকাশ করা আর উপহাস করার মধ্যে আমি অন্তত কোন পার্থক্য খুজে পাই না। বরং এই দিনটিতে পান্তা ইলিশের নামে হাজার হাজার টাকা খরচ না করে যারা একবেলা আধবেলা খেয়ে না খেয়ে বেচে আছে তাদের জন্য ব্যায় করলে তারা অন্তত একদিন ভাল খেতে পারবে।
ভাল লাগলো । Guess who?
ReplyDeletesorry bujhte parini je ekhane id dekhay day ...:P
ReplyDelete