আপনি সরকারি চাকুরী জীবি ? অবসরে যাবেন ? কিছুদিন আপনার ছুটি দরকার ?কতিদন আপনার অর্জিত ছুটি পাওনা হয়েছে , হিসাব করুন এখনই।
সরকারি কর্মচারি ছুটি বীধিমালা অনুসারে আমরা অনেকেই এটা জানি যে একজন স্থায়ী কর্মচারির
প্রতি ১১ দিনে ১ দিন পূর্ণগড় বেতনে আর ১২ দিনে ১ দিন ১ দিন অর্ধ -গড় বেতনে ছুটি তার
ছুটির হিসাবে জমা হতে থাকে । যদিও পূর্ণ গড় বেতনের ক্ষেত্রে ৪ মাস পর্যন্ত ছুটি তার
হিসাবে জমা হয়, ৪ মাসের অধিক হলে তা আলাদাভাবে
হিসাব রাখা হয়। এ বিষেয় অন্য কোন পোস্টে আলচোনা করব আজ শুধুমাত্র কীভাবে অর্জিত ছুটির
পরিমান হিসাব করতে হয় তা উদাহরনের মাধ্যমে বোঝানর চেষ্টা করব।
অর্জিত ছুটির পরিমান হিসাব করতে হলে প্রথমেই আপনাকে একজন কর্মচারির ছুটির আবেদনের
তারিখ বা অবসরে যাওয়ার তারিখ এর মধ্যে মোট চাকুরীকাল হিসাব করতে হবে। সহজ কথায় যে সময়ের
মধ্যে অর্জিত ছুটির পরিমান হিসাব করতে চান সে সময়কালটা বের করতে হবে । এর জন্য তার যোগদানের তারিখ ও
ছুটির আবেদনের তারিখ বা অবসরের তারিখটি জানতে হবে। এরপর উক্ত সময়কালেক দিনে
রুপান্তরিত করে পূর্ন গড় বেতনের ক্ষেত্রে ১১ দিয়ৈ আর অর্ধ গড় বেতনের ক্ষেত্রে ১২
দিয়ে ভাগ করে ছুটির পরিমান হিসাব করতে হবে। এখানে লক্ষ্য রাখতে হবে যে উক্ত
সময়কালের মধ্যে যদি সংশ্লিষ্ট কর্মচারি কখনও
বিনা বেতনে ছুটি বা নির্দিষ্ট কোন অপরাধে নির্দিষ্ট সময়ের জন্য সাসপেন্ড
থাকেন যে সময়ে তিনি কোন বেতন পান নাই তাহলে উক্ত সময়িট তার হিসাবকৃত চাকুরীকাল হতে
বাদ দিতে হবে। মোদ্দা কথা তিনি যে সময়টাতে বেতন পাবেন না তা হিসাব হতে বাদ দিতে
হবে।
উদাহরণ: ধরি
একজন কর্মচারির চাকুরীতে যোগদানের তারিখ ১/১/১৯৯০ । তিনি ১/১/২০১০ সালে ৩ মাস অর্জিত
ছুটি হতে চিকি”সা ছুটির জন্য আবেদন
করেছেন। দেখতে হবে তার অর্জিত ছুটি কতদিন পাওনা আছে।
হিসাব :
বছর ----------------মাস----------------দিন
আবেদন ২০১০ ১ ১

সময়কাল ২০ ০ ০
অর্থা” বিবেচ্য সময়কাল
২০ বছর । এখন প্রথমে এই সময়েক দিনে
রুপান্তর করতে হবে। যেহেতু ৩৬৫ দিনে এক বছর তাই ২০ বছরকে দিন করতে হলে একে ৩৬৫
দিয়ে গুন করতে হবে ।
২০×৩৬৫ = ৭৩০০ দিন।
আমরা জেনেছি পূর্ণ গড় বেতনের ক্ষেত্রে প্রতি ১১ দিনে ১ দিন
ছুটি প্রাপ্য হয় তাই পূর্ন গড় বেতনের ছুটি হিসাবের জন্য এই ৭৩০০ দিনকে ১১ দিয়ে ভাগ
করতে হবে।
৭৩০০÷১১= ৬৬৩
আর ভাগেশষ থাকেব ৭ দিন । ভাগশেষ ৬ এর চেয়ে বেশি হলে ১ দিন যোগ করতে হবে ,
আর ৬ এর কম হলে যোগ করা যাবে না।
তাহলে এক্ষেত্রে তার ছুটি পাওনা হবে ৬৬৩+১= ৬৬৪ দিন।
এই ৬৬৪ দিনেক বছর মাসে রুপান্তর করলে পাওয়া যাএব ১ বছর ৯
মাস ২৯ দিন। (দিনেক বছর মাস ইত্যাদিতে রুপান্তর করার নিয়ম আপনারা জানেন, যে যেভাবে
সুবিধা হয় রুপান্তর করেবন।)
অর্ধ গড় বেতনের ছুটি হিসাব করেত ৭৩০০ দিনেক প্রথেম ১২
দ্বারা ভাগ করে তারপর বছর দিন বানাতে হবেঅ
৭৩০০÷১২= ৬০৮ । ভাগেশেষ হবে ৪, তাই আর ১ যোগ হবে
না।
৬০৮ দিনেক বছর মাসে রুপান্তর করলে পাওয়া যাবে ১ বছর ৮ মাস ৪
দিন। যা তার অর্ধগড় বেতনে প্রাপ্য ছুটি।
এখন ধরে নেই এই ব্যক্তি ১/১/১৯৯৮ তারিখ হতে ৬ মাস অননুমোদিত
ছুটিতে ছিলেন , ২/০৩/২০০৩ তারিখ হতে ১ বছর সাসেপেন্ড ছিলেন এবং ৩/৫/২০০৬ তারিখ হতে
৩ মাস বিনা বেতনে চিকি:সা ছুটিতে ছিলেন। উক্ত সময়গুলোতে তিনি কোন বেতন পান নাই।
তাহলে এই ১ বছর ৯ মাস তার বিবেচ্য সময় হতে বাদ দিতে হবে।
আমরা আগেই দেখেছি তার চাকুরীকাল ২০ বছর। তাহলে এবার তার
প্রকৃত সময়কাল হবে
পাওনা আছে।
হিসাব : বছর ----------------মাস----------------দিন
সময়কাল ২০ ০ ০

প্রকৃত সময়কাল ১৮ ৩ ০
তাহলে প্রকৃত সময় কাল ১৮ বছর ৩ মাস
বা (১৮×৩৬৫+৩×৩০) = ৬৬৬০
দিন।
এবার তার পূর্ণ গড় বেতনের ছুটি পাওনা হবে ৬৬৬০÷১১= ৬০৫ এবং ভাগশেষ ৫। তাই ১ যোগ হবে না।
তাহলে তার পূর্ণ গড় বেতনের ছুটি পাওনা ৬০৫ দিন
বা ১ বছর ৮ মাস ।
অর্ধ গড় বেতনে ছুটি প্রাপ্য :
৬৬৬০÷১২=৫৫৫ দিন বা ১ বছর ৬ মাস ১০ দিন।
যদি এই ব্যক্তি ইতপূর্বে পূর্ণ গড় বা অর্ধ গড় বেতনে কোন
ছুটি ভোগ করে থাকেন তবে তা তার ছুটির হিসাব থেকে বাদ দিয়ে নীট হিসাব করতে হবে।
ধরি এই ব্যক্তি ইতপূর্বে ৪ মাস পূর্ন গড় বেতনে আর ৩ মাস
অর্ধ গড় বেতনের ছুটি ভোগ করেছেন , তাহলে তার নীট ছুটি হবে
পূর্ণ গড় বেতনের ছুটি :
হিসাব : বছর
----------------মাস----------------দিন
বর্তমান হিসাবকৃত ১ ৮ ০

প্রকৃত প্রাপ্য ছুটি
১ ৪ ০
১ বছর ৪ মাস
অর্ধ গড় বেতনের
ছুটি :
হিসাব : বছর
----------------মাস----------------দিন
বর্তমান হিসাবকৃত ১ ৬ ১০

প্রকৃত প্রাপ্য ছুটি
১ ১ ১০
১ বছর ১ মাস ১০ দিন
Comments
Post a Comment