আলোর অপেক্ষা
ঘাসের উপর পা ছড়িয়ে বসে অপলক দৃষ্টিতে মাহিমার দিকে চেয়ে আছে মামুন। কাছেই ৪ বছরের শাফিনকে নিয়ে ছুটোছুটি খেলছে মাহিমা।বাতাসে মাহিমার খোলাচুল বার বার মুখে এসে পরায় বিরক্তি তার চোখে মুখে।একহাতে চুল সরিয়ে আবারও ছেলের সাথে খেলায় মেতে উঠছে। দৃশ্যটা দেখতে বড় ভাল লাগে মামুনের। স্ত্রী আর ছেলেকে নিয়ে এর আগে কবে বের হয়েছিল মনে নেই। পার্কে আরও অনেকেই এসেছে। কেউ ঘুরছে কেউ খেলছে কেউ বা গল্প করছে।কোথায় যেন একটা কুকুর একটু পর পর ঘেউ ঘেউ করছে। অাগে এসবে বিরক্ত হতো মামুন। আজ বড্ড ভাল লাগছে। লক ডাউনের ২৫ দিন পর সবাই বের হয়েছে। সবার মাঝে একটা নব উদ্যোম। চারদিকে যুদ্ধ জয়ের আনন্দ। বিভীষিকাময় দিনগুলো ভুলে নতুন করে গড়তে যেন সবাই প্রস্তুত হচ্ছে। ঝাপিয়ে পড়তে চায় নতুন এক যুদ্ধে। এক জোড়া প্রেমিক প্রেমিকা পরস্পরকে জড়িয়ে ধরে হেটে যায়। অন্যসময় হলে চোখ সরিয়ে নিত মামুন। কেন যেন বড্ড ভাল লাগে তার। এই ভালবাসাই পৃথিবীকে আবার নবরুপে সাজিয়ে দিবে।
চলো উঠি। তুমি তো আবার সন্ধ্যায় ক্লাবে যাবে।
না আর ক্লাবে যাব না।বরং চলো কোথাও গিয়ে কিছু খেয়ে বাড়ি ফিরব।
মাহিমার ঠোটে হাসির রেখা ফুটে ওঠে। শক্ত করে স্বামীর হাত ধরে মাহিমা যেন আর কখনও ছুটে না যায়।
নিজেকে খুব সুখী মনে হয় মামুনের। পৃথীবিটা সত্যি সুন্দর। এখন তার অনেক কাজ। সব আবার নতুন করে শুরু করবে সে। মাহিমার হাসিটাকে হারাতে দিতে চায় না আর।
চলো উঠি। তুমি তো আবার সন্ধ্যায় ক্লাবে যাবে।
না আর ক্লাবে যাব না।বরং চলো কোথাও গিয়ে কিছু খেয়ে বাড়ি ফিরব।
মাহিমার ঠোটে হাসির রেখা ফুটে ওঠে। শক্ত করে স্বামীর হাত ধরে মাহিমা যেন আর কখনও ছুটে না যায়।
নিজেকে খুব সুখী মনে হয় মামুনের। পৃথীবিটা সত্যি সুন্দর। এখন তার অনেক কাজ। সব আবার নতুন করে শুরু করবে সে। মাহিমার হাসিটাকে হারাতে দিতে চায় না আর।
Comments
Post a Comment