Posts

Showing posts from April, 2020

কিভাবে ফেসবুকে 360° ছবি আপলোড করবেন।

Image
আজকাল ফেসবুক ব্যবহার করেন আর সুন্দর সুন্দর ছবি পোস্ট করতে পছন্দ করেন না এমন মানুষ খুঁজে পাওয়া যাবে না। আর ছবিটা যদি হয় 360° তাহলে তো কথাই নেই। কিন্তু আমরা অনেকেই হয়তো জানি না কিভাবে এই 360° ছবি ফেসবুকে পোস্ট করতে হয়। আসুন জেনে নেই কিভাবে এটি করতে হয়। খুব কঠিন কিছু নয় বরং খুবই সহজ। তবে দুঃখের বিষয় সব সেট কিন্তু এটি সাপোর্ট করে না। আমার জানামতে স্যামসাং গ্যালাক্সি এবং আই আইফোন ফেসবুকের এই অপশনটি সাপোর্ট করে। অন্য ফোনেও করতে পারে আপনারা ট্রাই করে দেখবেন। এবার তাহলে জানা যাক কিভাবে এটি করব। থ্রি সিক্সটি ডিগ্রি ফটো কী তা বোঝার সুবিধার্থে নিচের ভিডিওটি দেখে নিতে পারেন।  ১।প্রথমে আপনি আপনার মোবাইল ফোনের ক্যামেরা টি ওপেন করুন। ক্যামেরা নিচের দিকে যেখানে Photo, Vedio ইত্যাদি লেখা আছে সেটা ড্রাগ করে করে Panaroma তে সেট করুন। ২। মোবাইলটি Potrait মোডে মানে লম্বালম্বিভাবে ধরুন। ৩। ক্যামেরার শাটার বাটনটি চেপে আপনি এক জায়গায় দাঁড়িয়ে থেকে যেকোনো একটি ডিরেকশনে মোবাইলটি ঘুরিয়ে ঘুরিয়ে শুট করুন। অর্থাৎ হয় ডানে অথবা বামে যেকোনো একদিকে মোবাইলটি ঘোরাতে হবে। উভয় দিক...

কিভাবে ফেসবুকের কভার ফটোতে 3d Photo বা ভিডিও সেট করবেন।

Image
আমরা অনেকেই হয়তো জানি না, বর্তমানে ফেসবুকে আপনার প্রোফাইল এর কভার ফটোতে থ্রীডি ছবি বা ভিডিও সেট করা যায়। এটা ফেসবুকের একটি নতুন ফিচার। যা আপনার প্রোফাইল কে অনেকটাই আকর্ষণীয় করে তোলে। বিষয়টি বুঝার সুবিধার্থে অর্থাৎ কভার ফটোতে থ্রিডি ছবি বিষয়টি কেমন তা বোঝার জন্য ৯ সেকেন্ডের ভিডিওটি একটু দেখে নিন। কি চমৎকার না? আপনারও খুব ইচ্ছে করছে এমন কিছু করতে।এটা কিন্তু খুবই সহজ একটি কাজ। আসুন দেখে নেওয়া যাক কিভাবে এটি করবেন। ১। আপনার ফেসবুক অ্যাপটি চালু করে আপনার প্রোফাইলে যান। ২।কভার ফটোর ডান দিকে যে ক্যামেরা বাটনটি অর্থাৎ এডিট বাটন আছে ওখানে টাচ করুন। ৩। অনেকগুলো অপশন চলে আসবে। নিচের দিকে যে Select Art Work নামে অপশন টি আছে সেটি সিলেক্ট করুন। ৪।এবার দেখবেন আপনার সামনে বেশ কিছু ছবি এবং ভিডিও থ্রীডি ছবি ওপেন হয়ে গেছে। যে ছবিগুলা রুপোর ভিডিও আইকন বা থ্রীডি আইকন আছে বুঝতে পারবেন যে এগুলি আপনি খুজছেন। ৫।আপনার পছন্দের থ্রিডি ছবিটি সিলেক্ট করুন এবং উপরের ডান কর্নারে নেক্সট করুন। ব্যাস আপনার কাজ শেষ। মনে রাখতে হবে এই ফিচারের একটি লিমিটেশন হলো এখানে দেওয়া থ্রিডি ছব...

সংসদ বাংলাদেশ টেলিভিশন এর প্রাথমিক শিক্ষার্থীদের শ্রেণি পাঠদান দেখার আহ্বান জানিয়ে একটা অ্যানিমেশন ভিডিও বানালাম। এটাই আমার জীবনের প্রথম বার। প্রথম বার হিসেবে বেশ মজা পেয়েছি।

স্পিচ রিকগনিশন টেকনোলজি ব্যবহার করে মুখেমুখে বাংলা বা ইংরেজী টাইপ করুন এবং লিখে ফেলুন আপনার মনের কথা ফেসবুক বা আপনার ব্লগে।

Image
আপনি আপনার বন্ধুকে এখন একটি টেক্সট ম্যাসেজ করতে চান। বা বড় কোনো আর্টিকেল লিখতে চান। কিন্তু বাংলা টাইপ করতে গিয়ে আপনি সমস্যায় পড়ছেন। আকার ওকার খুঁজে পেতে সমস্যা হয় এবং সময়ও লাগে অনেক। এতটা সময় আপনার হাতে নেই। সমস্যা নেই। আপনি আপনার কথাগুলো মুখে মুখে বলছেন আর আপনার মোবাইল সেটি টাইপ করে ফেলছে। কি অদ্ভুত শোনালো তাই না? এগুলো এখন আর কোন কল্পনা নয়।এসবই এখন বাস্তব। পাঠক নিশ্চয়ই এতক্ষণে বুঝে ফেলেছেন আমি স্পিচ রিকগনিশন টেকনোলজির কথা বলছি।এখন খুব সহজেই আপনি বাংলা বা ইংরেজি টাইপ মুখেমুখে করতে পারেন।এক্ষেত্রে আপনার শুধু লাগবে একটা ভালো স্মার্ট ফোন, বাংলা টাইপের জন্য রিদমিক কিবোর্ড নামের সফটওয়্যার যা খুব সহজে এবং বিনামূল্যে প্লে স্টোরে পেয়ে যাবেন। আর ইন্টারনেট কানেকশন। যা করতে হবে ১। যদি আপনার মোবাইলে ঋদ্মিক সফটওয়্যার টি না থাকে তাহলে সেটি Play store থেকে নামিয়ে ইন্সটল করে নিন। ইন্সটল করার পদ্ধতি এই লেখাটির শেষে পাবেন। ২। কাউকে কোন মেসেজ বা চ্যাটিং করার সময় যে অপশনে গিয়ে আপনি টাইপ করেন সেখানে টাচ করুন। নিচের ছবির মত একটি কিবোর্ড ওপেন হবে। ৩। কিবোর্ড এর ডানপাশে যে মা...

কিভাবে ফেসবুকে থ্রিডি ফটো(3d Photo) আপলোড করবেন

Image
ফেসবুকে একটা ছবির দিকে হঠাৎই আপনার চোখ আটকে গেল। আরে ছবিটা তো চমৎকার ! মোবাইলের মুভমেন্ট এর সঙ্গে ছবিটিও এদিক সেদিক মুভ করছে। মনে হচ্ছে ছবির বস্তুটিকে হাত দিয়ে এখুনি ধরা যাবে। তেমন একটা ছবি আপলোড করতে আপনারও খুব ইচ্ছা করছে।কিন্তু কিভাবে করতে হয় জানেন না। যারা জানেন না লেখাটি তাদের জন্যই। এ ধরনের ফটো কে বলে 3d photo. যেটা ফেসবুকের সাম্প্রতিক সময়ের একটি ফিচার। এটি খুব কঠিন কিছু নয় বরং অনেক সহজ একটি কাজ। আসুন দেখে নেওয়া যাক কিভাবে এটি করতে হয়। তবে সব সেটে কিন্তু এই কাজটি করা যাবে না। সাধারণত আইফোনের এটি সবচেেয়ে ভালো হয়। এছাড়াও স্যামসাং গ্যালাক্সির কিছু এবং আরও দু একটি সেটে এটা করা যাবে।কোন কোন সেটে করা যাবে তা লেখাটির শেষে পাবেন। ১। আপনার facebook অ্যাপটি ওপেন করুন। ২। What's your mind অর্থাৎ যেখান হতে কোন কিছু পোস্ট করেন সেখানে যান। ৩। সেখানে টাচ করলেই দেখবেন অনেকগুলি অপশন চলে আসবে। সেখানে 3D Photo নামে একটি অপশন পাবেন। এটাতে টাচ করুন। ৪। আপনি যে ছবিটি থ্রিডি' ছবিতে পরিবর্তন করতে চান সেটি সিলেক্ট করুন। ফেসবুক নিজের থেকেই ছবিটিকে 3d photo তে পরিণত করবে...

ছুটি কালীন সময়ে প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়ের অধীন মাঠ পর্যায়ের কর্মকর্তাদের মধ্যে নিজ নিজ কর্মস্থলে অবস্থানের জন্য পুনরায় সতর্ক করুন।

Image
চলমান করো না পরিস্থিতির কারণে এখন সারাদেশে সাধারণ ছুটি চলছে। তবে ছুটিকালীন সময়ে সরকারি কর্মকর্তা কর্মচারীগণ কে নিজ নিজ কর্মস্থলে অবস্থান করতে বলা হয়েছিল। কিন্তু তা সত্ত্বেও কর্মকর্তা-কর্মচারীগণ কর্মস্থলে অবস্থান না করে যার যার বাড়িতে অবস্থান করছেন। এমতাবস্থায় মাঠ প্রশাসনকে সহযোগিতা করার জন্য প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়ের প্রশাসন ২ শাখা হতে ৯ এপ্রিল একটি পত্র জারি করা হয়। উত্তরপত্রে সরকারি কর্মচারী শৃঙ্খলা বিধিমালা ১৮ এর কথা উল্লেখ করে কর্মচারীগণ নিজ নিজ কর্মস্থলে অবস্থানের জন্য সতর্ক করা হয়েছে। 

সরকারি সাধারণ ছুটির মেয়াদ বৃদ্ধি পেল ২৫ এপ্রিল পর্যন্ত

Image
চলমান করো না পরিস্থিতির কারণে সরকারি সাধারণ ছুটির মেয়াদ আরও একবার বৃদ্ধি করা হলো। জনপ্রশাসন মন্রনালয়ের বিধি -৪ হতে জারিকৃত পত্রে আদেশটি জারি করা হয়। তবে এবারের পত্রে কিছু শর্ত জুরে দেওয়া হয়েছ ১। এই ছুটি অন্যান্য সাধারন ছুটির মত বিবেচিত হবে না। ২। সন্ধ্যা ৬.০০ টার পর বাড়ির বাইরে যাওয়া যাবে না। ৩। একজেলার সাথে অন্য জেলার যান চলাচল সীমিত থাকবে। ৪। সরকারি কর্মকর্তা কর্মচারীগণকে নিজ কর্মস্থলে অবস্থান করতে হবে।

দ্য ফিল্ড টুইনস যাদের নামে নামকরন হয় একটি রোগের নাম দা ফিল্ড ডিজিজ

Image
ক্যাথরিন ও ক্রিস্টি ফিল্ড আমরা প্রত্যেকেই হয়ত চাই মৃত্যুর পরও আমার নামটি অমর হয়ে থাকুক। আপনার নামে যদি কোন কিছুর নামকরণ করা হয় তাহলে সাধারণত আপনার অখুশি হবার কথা নয়।কিন্তু যদি আপনার নামটি কোন রোগের সঙ্গে জুড়ে যায় তাহলে নিশ্চয়ই আপনার ভালো লাগবেনা। কিন্তু এমনই একটি ঘটনা ঘটেছে ক্যাথরিন এবং কৃষ্টি ফিল্ড নামের ওয়েলস এর লেনালি শহরের সদা হাস্যজ্জল জমজ দুই বোনের জীবনে। ফিল্ড ডিজিজ "দা ফিল্ড কন্ডিশন " এমন একটি বিরল রোগ যার নামকরণ করা হয়েছে এই দুই বোনের নামের টাইটেল থেকে। এই রোগটা এতটাই বিরল যে তারাই পৃথিবীতে শুধুমাত্র দুই জন মানুষ যাদের এই রোগ রয়েছে। জন্ম ও শৈশব কাল : ওয়েলস এর লেনালি শহরে জন্ম এই দুই জমজ বোনের। জন্মের পর তারা আর সকল বাচ্চার মতোই স্বাভাবিক ছিল। তিন বছর বয়স পর্যন্ত তাদের সকল কর্মকাণ্ড, হাঁটা-চলা কথা বলা সবই স্বাভাবিক ছিল। সমস্যা ধরা পড়ে তাদের চার বছর বয়সে, যখন তারা হাঁটতে গিয়ে ভারসাম্য হারিয়ে ফেলত। এরপরও হামাগুড়ি দেওয়া, কথা বলা, গান গাওয়া, বাইক চালানোর মতো স্বাভাবিক কাজ গুলো তারা বেশ সচ্ছন্দেই শিখে ফেলে। বয়স বাড়ার সাথে সাথে তাদের সমস্যাগ...

আলোর অপেক্ষা

ঘাসের উপর পা ছড়িয়ে বসে অপলক দৃষ্টিতে মাহিমার দিকে চেয়ে আছে মামুন। কাছেই ৪ বছরের শাফিনকে নিয়ে ছুটোছুটি খেলছে মাহিমা।বাতাসে মাহিমার খোলাচুল বার বার মুখে এসে পরায় বিরক্তি তার চোখে মুখে।একহাতে চুল সরিয়ে আবারও ছেলের সাথে খেলায় মেতে উঠছে। দৃশ্যটা দেখতে বড় ভাল লাগে মামুনের। স্ত্রী আর ছেলেকে নিয়ে এর আগে কবে বের হয়েছিল মনে নেই। পার্কে আরও অনেকেই এসেছে। কেউ ঘুরছে কেউ খেলছে কেউ বা গল্প করছে।কোথায় যেন একটা কুকুর একটু পর পর ঘেউ ঘেউ করছে। অাগে এসবে বিরক্ত হতো মামুন। আজ বড্ড ভাল লাগছে। লক ডাউনের ২৫ দিন পর সবাই বের হয়েছে। সবার মাঝে একটা নব উদ্যোম। চারদিকে যুদ্ধ জয়ের আনন্দ। বিভীষিকাময় দিনগুলো ভুলে নতুন করে গড়তে যেন সবাই প্রস্তুত হচ্ছে। ঝাপিয়ে পড়তে চায় নতুন এক যুদ্ধে। এক জোড়া প্রেমিক প্রেমিকা পরস্পরকে জড়িয়ে ধরে হেটে যায়। অন্যসময় হলে চোখ সরিয়ে নিত মামুন। কেন যেন বড্ড ভাল লাগে তার। এই ভালবাসাই পৃথিবীকে আবার নবরুপে সাজিয়ে দিবে। চলো উঠি। তুমি তো আবার সন্ধ্যায় ক্লাবে যাবে। না আর ক্লাবে যাব না।বরং চলো কোথাও গিয়ে কিছু খেয়ে বাড়ি ফিরব। মাহিমার ঠোটে হাসির রেখা ফুটে ওঠে। শক্ত করে স্বামীর হাত ধরে মাহিমা যেন আর...

বিদায়

Image
মা চললাম, দড়জার কাছে গিয়ে মুখ ঘুড়িয়ে বলে নাবিল।গলা পর্যন্ত উঠে আসা চাপা কান্নাটা অনেক কষ্টে দমিয়ে রাখে সে।বেশ খানিকটা দুরে আচলে বার বার চোখ মোছেন মা। ছেলেকে এভাবে কবে বিদায় দিয়েছেন মনে করতে পারেন না। নাবিল বেড়িয়ে যেতেই বেশ খানিকটা দুরত্ব রেখে তার ছোট ভাই পিছে পিছে হাটতে থাকে। একটা ইটে হোচট খেয়ে হুমরি খেয়ে পড়ে যায় নাবিল। ফ্যাল ফ্যাল করে চেয়ে থাকে ছোট ভাই। কাছে যায় না। দুর্বল শরীরে অনেক কষ্টে উঠে দাড়ায় নাবিল।গন্তব্য বাড়ি হতে অদুরে তাদের একটি এক কামড়ার ছোট বাড়ি।১৪ দিন সেখানেই থাকবে। গত কয়দিনের জ্বর কাশিতে প্রায়,কাহিল হয়ে পড়ে সে। ফোনে ডাক্তারের পরামর্শে নিজেই এমন সিদ্ধান্ত নেয়। এলাকার মানুষ জানলে সমস্যা হতে পারে তাই গোপনে কাজটি করতে হচ্ছে। নাবিলের ছোটভাই প্রতিদিন একবার করে ঘরের বাইরে বারান্দায় খাবার রেখে আসবে ঠিক হয়। মাত্র তিনদিন যেতে হয় তাকে। নাবিল গিয়েছিল নিজের পায়ে তবে ফিরেছিল অন্যের কাধে।

লকডাউন ও একজন নাজিম

দৃশ্য -১ রাস্তার একটি চায়ের দোকান। চা সিগারেট খেতে খেতে কিছু লোক গল্পে মশগুল। নাজিম পত্রিকা হতে মুখ তুলে একজনকে উদ্দেশ্য করে বলে- কাক্কু দ্যাখছ! হালার পো হালা সরকারে কামডা করতেয়াছে কি? ক্যান সরকার কি তোর ইয়ের মইদ্যে চিমটি দ্যাছে? দুর কাক্কু, আমনে খালি ফাউল হরেন।মুই কি হে কতা কইতেয়াছি। মুই কইতেয়াছি করোনার কথা। দেহেন হগ্গল দ্যাশ লক ডাউন মারতেছে আর মোগো দ্যাশে ব্যাবাক খুইল্লা রাখছে।করোনা যখন ধরবোহানে ব্যাবাকতে ভ্যাটকাইয়া পরবেয়ানে।আমাগোরও এহনি লক ডাউন মারতে হইবে। নাইলে সব মইরা ভুত। হালার চোরের দ্যাশে বাস করি। নাজিমের কথাতে তর্ক বিতর্ক বেড়ে যায়।অধিকাংশই অতি জ্ঞানী। সরকারের ভুল পদক্ষেপে মহা চিন্তিত তারা। আসলেই লক ডাউন করা উচিত এমন মতের সংখ্যাই বেশি। দোকানদার বিরক্ত হয়।একটা বাচ্চা ছেলে এসে নাজিমকে বলে- নাজিম ভাই, চাচি তোমারে বিছরাইতাছে। ছ্যাৎ কইরা বাড়ি যাও। এমন জমজমাট আড্ডা হতে যেতে মন না চাইলেও নাজিম উঠে যায়। দুদিন পর। নাজিম ভোর বেলা চায়ের দোকানের উদ্দেশ্যে রাস্তায় বের হয়।চারিদিকে শুনসান নীরবতা। রাস্তার কুকুর গুলোও যেন উধাও হয়ে গেছে।অন্যদিন এ সময় দোকান সব খুলে যায়। লোকজ...

ব্ল্যাক ডেথ ইউরোপে প্রথম কোয়ারেন্টাইন ধারণার চর্চা শুরু এবং ইসলামের প্রথম কোয়ারেন্টাইন ধারণার প্রবর্তন

Image
করোনা ভাইরাসের কারণে বর্তমান সময়ে কোয়ারেন্টাইন এবং আইসোলেশন শব্দদুটি ব্যাপক পরিচিতি লাভ করেছে। আমরা অনেকেই হয়তো জানি না, ইতিহাসে প্রথম কোয়ারেন্টাইন এর ধারণা দেন ইসলাম ধর্মের মহানবী হযরত মুহাম্মদ (সাঃ) আজ হতে চৌদ্দশ বছর আগে। যা মার্কিন গবেষক ড. কন্সিডাইন তার গবেষণায় প্রমাণ করেছেন। কিন্তু কোয়ারেন্টাইন শব্দটির ব্যাপক প্রচলন ও চর্চা শুরু হয় ১৩০০সাথে সালে ইউরোপে যখন ব্ল্যাক ডেথ নামক মহামারী ইউরোপ হতে এশিয়া পর্যন্ত তার করাল থাবা বসিয়েছিল। আজ এখানে সে আলোচোনাই করব। ব্ল্যাক ডেথ কী? প্রাথমিক ভাবে ধারনা করা হতো ব্ল্যাক ডেথ ছিল বুবোনিক প্লেগের ( ইয়ারসিনিয়া পেস্টিস, ইঁদুরদের একটি ফ্লাই-বাহিত ব্যাকটিরিয়া রোগ যা মানব শরীরে ছড়িয়ে পড়ে) একটি ধ্বংসাত্মক বৈশ্বিক মহামারী রুপ। যা ১৩০০ এর দশকের মাঝামাঝি সময়ে ইউরোপ এবং এশিয়াতে আঘাত করেছিল। প্লেগটি ১৩৪৭ সালের অক্টোবরে ইউরোপে পৌঁছেছিল, যখন কৃষ্ণ সাগরের ১২ টি জাহাজ মেসিনার সিসিলিয়ান বন্দরে এসে পৌছায়।। সেদিন ডকে জড়ো হওয়া লোকজন এক ভয়াবহ ও বিশ্বয়কর ঘটনার সাক্ষী হয়ে থাকেন। জাহাজে চড়ে আসা বেশিরভাগ নাবিক মারা গিয়েছিলেন এবং তখনও...

গল্প হলেও সত্য

ক্ষেতের আইল ধরে একপ্রকার দৌড়াতে শুরু করে আক্কাস। মুখের দিকে একবার তাকিয়েই যে কেউ বলে দিতে পারবে মানুষটা কিছু একটা নিয়ে আতঙ্কগ্রস্ত। কম্পিত ঠোট আর অশ্রুসজল চোখে উদ্বেগের কারন ঠাওর করতে না পারলেও মাত্রাটা ঠিকই ধরা পরে।হাঁপাতে হাঁপাতে এসে বটগাছের তলায় ছোট একটা দোকানের সামনে থামলো সে। দোকানে তিন চারজন ছেলে আর একজন বৃদ্ধ বসে আড্ডা দিচ্ছে। একজন আবার মোবাইল হাতে একমনে কিছু একটা পড়ে চলেছে। আশপাশের রাস্তাঘাট একদমই জনমানব শুন্য। রতন ভাই কালুরে দ্যাখছ? দোকানদারকে উদ্দেশ্য করে কথাটা বলে আক্কাস। কালুরে কি দরকার? তুমি এত হাপাইতেছ ক্যান। দোকানির কথা শুনে সবাই আক্কাসের দিকে তাকায়। অর ভ্যানটা খুব দরকার।ছেলেডারে হাসপাতালে নিতে হইব।অরে আমি বাসায় একলা রাইখা আসছি। আরে হইছেডা কী? গত তিনচারদিন কাশতাছে। আজ আবার গায়েও জ্বর। গলায় কেমন ঘরঘর আওয়াজ আইতাছে। মা মরা ছেলেডা আমার বাড়িতে একলা আছে। অরে ছাড়া আমি বাচুম না। ফুপিয়ে কেঁদে ফেলে আক্কাস। শক খাওয়ার মত লাফিয়ে তিন চার হাত পিছিয়ে যায় মোবাইল হাতে ধরা ছেলেটি।ওরে তো করোনায় ধরছে ভয়ার্ত চোখে চিৎকার করে সে।হাতের মোবাইলটা সবার উদ্দেশ্যে দেখিয়ে বলে দ্যাখো এখান...